স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বহুল আলোচিত তাহমিনা আক্তার পিনু (২৯) তার স্বামীর বাড়িতে গত ১ এপ্রিল ২০২২ নিজ শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে নিহত হওয়ার ঘটনার দীর্ঘ ৯ মাস অতিক্রান্ত হলেও অজানা কারণে এখনো আসেনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ঘটনার পরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের পিতা ইউনুস মিয়া বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে পিনুর স্বামী রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাধারণত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে আসলেও পিনু হত্যার ঘটনার ময়নাতদন্ত রিপোর্টটি এখনো আসেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসায় সঙ্গত কারণেই এখনো আদালতে চার্জশীট দিতে পারেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কবে নাগাদ আসবে, মামলার চার্জশীটই বা আদালতে কবে প্রেরণ করা হবে তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে মামলার বাদী নিহত তাহমিনা আক্তার পিনুর বাবা মো: ইউনুস মিয়াসহ নিহতের পরিবার।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাসেলকে ঘটনার দিনই আটক করে আদালতে প্রেরণ করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। পরে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত দুই ধাপে মোট ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে। পরে পুলিশি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এরপর আর এগোয়নি মামলার তদন্ত কার্যক্রম। বর্তমানে নিহত পিনুর স্বামী রাসেল জামিনে আছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রেজাউল করিম মুঠোফোনে জানান, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসায় চার্জশীট দেয়া সম্ভব হয়নি। রিপোর্ট পেলেই আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।’
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘আত্মহত্যায় প্ররোচণার দায়ে নিহত তাহমিনা আক্তার পিনুর স্বামী রাসেলকে ঘটনার দিনই গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। নিহতের শয়ন কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তার স্বামীকে পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ইনচার্জ ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। শীঘ্রই পিনু নিহতের ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হবে।’