মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষে বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করলেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে স্থানীয় হাট-বাজারসহ গ্রামের চা-স্টলগুলো। বইছে নির্বাচনী হাওয়া, সম্ভাব্য সকল প্রার্থীই এখন মাঠে।
আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল, কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি লীগের সহ-সভাপতি, আ’লীগ নেতা মাঈন উদ্দীন ভূ্ইঁয়া, ঢাকা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিয়াদ হোসেন জাবেদ। সম্ভাব্য সকল প্রার্থীই করোনা দুর্যোগ মুহুর্তে সামর্থ অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মানুষের সাথে কুশলবিনিময় করে নিজের প্রার্থীতার বিষয়ে জানান দিচ্ছেন।
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ’লীগ নেতা মাঈন উদ্দীন ভূ্ইঁয়া বলেন, সবসময় ইউনিয়নের প্রতিটা নেতা-কর্মীর খোঁজখবর নিয়েছি। সামর্থ অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সকলের পাশে ছিলাম। প্রিয় নেতার নির্দেশে করোনা দূর্যোগে রাতের আঁধারে অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। গত নির্বাচনেও আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দলের সিদ্ধান্ত ও চৌদ্দগ্রামের গণমানুষের আস্থার শেষ ঠিকানা, সাবেক সফল রেলপথ ও ধর্মমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক মুজিব এমপি’র নির্দেশে তখন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নৌকা প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করি। এবারও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রিয় নেতা মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে কাজ করবো। নির্বাচনে জয়লাভ করলে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, জঙ্গীবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে অপরাধমূলক সকল কর্মকান্ড দমনে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবো। এছাড়াও রাস্তাঘাট, পুল-কালভাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপসনালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করে আলকরা ইউনিয়নকে একটি শান্তির জনপদ ও মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করবো ইনশাআল্লাহ্।