স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক অসহায় পরিবারের উপর হামলা ও বাড়ীঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারী-শিশু সহ কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো: চাঁন্দকরা মুন্সী বাড়ীর গেদু মিয়ার মেয়ে হাজেরা আক্তার (৩০), বোন রুফিয়া বেগম (৬০), ভাতিজি সাদিয়া আক্তার (১৬) ও শিশু নাতনি হাবিবা আক্তার (৭)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা মুন্সী বাড়ীতে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে ভুক্তভোগি কর্তৃক অভিযুক্ত একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে জালাল উদ্দিন (৪০), তার স্ত্রী মিনু বেগম (৩২), শ্বশুর বাচ্চু মিয়া (৭০) ও শিষ মিয়া (৬০) ওরফে শিশু মিয়া নামে অপর এক প্রতিবেশী সহ অপরাপর সহযোগিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা মুন্সী বাড়ীর গেদু মিয়ার মেয়ে হাজেরা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিজেদের জায়গায় ঘর করতে গেলে একই বাড়ীর জালাল উদ্দিন ও তার শ^শুর বাচ্চু মিয়া আমাদেরকে বাধা প্রদান করে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং আমাদের বসতঘর ভাংচুর করে। হামলায় আমার মাথায় কাটাছেঁড়া ও রক্তাক্ত জখম সহ আমার ফুফু রুফিয়া বেগমের মাথায় রক্তাক্ত জখম, আমার চাচাতো বোন সাদিয়া আক্তার এবং আমার শিশু কন্যা হাবিবা আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমার এবং আমার ফুফুর মাথায় ৬/৭টি করে সেলাই লেগেছে। আমি এবং আমার ফুফু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখনো চিকিৎসা গ্রহণ করছি। এর আগেও হামলাকারীরা বিভিন্ন সময় আমাদের উপর হামলা করে। এখনো তারা আমাদেরকে নানান হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমার পরিবারের লোকজন বাড়ীতে যেতে পারছেনা। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
গুরুতর আহত রুফিয়া বেগমের মেয়ে রোকসানা বলেন, ‘আমার মা রুফিয়া বেগম মঙ্গলবার বিকালে আমার নানুর চিকিৎসাপত্র আনতে উনার বাবার বাড়ীতে গিয়ে হামলার শিকার হন। হামলাকারী জালাল ও বাচ্চু মিয়া সহ তার পরিবারের অপরাপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ এ সময় তিনি পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ঘামলার শিকার রুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমি বাবার বাড়ী গিয়েছি আমার বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসাপত্র আনতে। সেখানে গেলে জালাল, তার স্ত্রী মিনু ও তার শ^শুর বাচ্চু মিয়া অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা করে। আমার মাথায় গুরুতর আঘাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছি। আমি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করছি।’
অভিযুক্ত জালাল ও তার স্ত্রী মিনু বলেন, ‘তারা আগে আমাদের উপর হামলা করায় পরে আমরা পাল্টা হামলা করেছি। কে আহত হয়েছে আমরা জানিনা। আমাদের লোকজনও আহত হয়েছে।’