মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিপা আক্তার (২৭) নামে এক ঘুমন্ত গৃহবধু ও আলী আহসান মুজাহিদ (৮) নামে তার শিশু পুত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৪ জুলা) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পৌরসভাধিন পাঁচরা বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিপার স্বামী আনোয়ার হোসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই প্রবাসী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঈনুল হাসান শুভ ও আবদুল্লাহ আল শাহেদ নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তারা নিহতের ভাশুর মীর হোসেনের ছেলে। বুধবার (৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পত্তি নিয়ে নিহত নিপার স্বামী প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের সাথে তার ভাই মীর হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জেরে আনোয়ার হোসেনের ভাই মীর হোসেনের ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।
নিহত নিপা আক্তারের বাবা জালাল আহমেদ জানান, ‘মঙ্গলবার রাত নয়টায় নিপা তার ছেলেকে নিয়ে পাশেই তার মামা শ্বশুর আজিজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে হত্যাকারী ঘরে প্রবেশ করে নির্মাণাধীন টয়লেটে লুকিয়ে ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে নিপা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আনুমানিক রাত আড়াইটায় হত্যাকারী কাঠের লাকড়ি অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে শিশু মুজাহিদ ও তার মা নিপাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু মুজাহিদকে ঢাকা নেওয়ার পথে সেও মারা যায়। আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।’ এ বিষয়ে থানা প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ‘সংবাদ পেয়ে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যবককে আটক করা হয়েছে। অপর সন্দেহভাজনদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’