স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাছলিমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও ভাগিনার বিরুদ্ধে। তাছলিমা আক্তার মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরণ করেন । এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জণ চাকমা। নিহত গৃহবধু তাছলিমা আক্তার তিন সন্তানের জননী। এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের লনিশ্বর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আমান উল্লাহর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাছলিমার সাথে স্বামী আমান উল্লাহর প্রায় সময় ঝগড়া হত। সোমবার দুপুরে আমান উল্লাহ তাছলিমাকে পছন্দের তরকারি রান্না করতে বলেন, কিন্তু তিনি স্বামীর পছন্দের রান্না না করে ডাল ও আলু ভর্তা তৈরী করেন। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও হাতাতির ঘটনা ঘটে। এসময় আমান উল্লার ভাগিনা মোঃ নাসির (২৫) মামার পক্ষ নিয়ে রান্না ঘরে থাকা সিমেন্টের ভাঙ্গা চুলার অংশ দিয়ে মামির মাথায় আঘাত করে। তাছলিমার আত্মচিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে এসে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে নিহতের স্বামী আমান উল্লাহ ও তার ভাতিজা লিমন তাছলিমাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর কথা শুনে হাসপাতাল থেকে কৌশলে স্বামী আমান উল্লাহ পালিয়ে যান।
ভাতিজা লিমন বলেন, তরকারি রান্নাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে হাতাতির ঘটনা ঘটে। এসময় মামার পক্ষ নিয়ে ভাগিনা নাসির রান্না ঘরে থাকা সিমেন্টের ভাঙ্গা চুলার অংশ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। তাছলিমার আত্মচিৎকারে আমরা এগিয়ে আসলে নাসির পালিয়ে যায়। পরে তাকে পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়। আজ সকালে তার অবস্থা অবনতি ঘটলে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাঃ তাছলিমাকে মৃত ঘোষনা করেন।
কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তাছলিমার মাথায় রক্তাক্ত গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধু তাছলিমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। নিহতের স্বজনরা মামলার দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।