মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-০২ এর পরিচালক ফিরোজ প্রধান। আটককৃতরা হলো: উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা গ্রামের মৃত এরশাদ উল্লাহর ছেলে কথিত সাংবাদিক মো: সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ জয়, একই ইউনিয়নের কিং ছুপুয়া গ্রামের শরীফুর রহমান, ছুপুয়া এলাকার ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন মানিক, আবুল হাশেম, আখের মিয়া প্রকাশ রাকিব, মুজাহিদুল ইসলাম, জগমোহনপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন, নাদির হোসেন, মো: মারুফ, একই এলাকার ভাড়াটিয়া শাহাদাত হোসেন ফরহাদ, বাবুচি বাজারের ভাড়াটিয়া জজ মিয়া ও মিরশান্নী বাজার এলাকার ভাড়াটিয়া মো: মাসুদ। তাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছুপুয়া এলাকায় ইসলামিয়া হোটেলে (ট্রাক হোটেল) মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে র্যাব-১১ সিপিসি-০২ এর একটি টিম বৃহস্পতিবার ভোরে ওই হোটেলে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেল থেকে পালানোর সময় ১৩ জনকে আটক করে র্যাব। এ সময় একটি পলিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের দেহ তল্লাশী করে ৯৫টি গাঁজার পুড়িয়াসহ মোট ২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই মাদক ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গাঁজাসহ অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিলো।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে মো: সাদ্দাম হোসেন (এম.এস.এইচ জয়) কুমিল্লার একটি দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য পরিচয় দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুচি ও ছুপুয়া এলাকার হোটেলগুলোতে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। সম্প্রতি সে ও তার ভাই ‘ইসলামিয়া হোটেল’ নামে একটি হোটেল পরিচালনা করে আসছিলো। এছাড়া সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে মহাসড়কের পাশের হোটেলগুলোর মালিক-কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দিতো। এছাড়া চোরাই তেলের ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীসহ ১৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করায় র্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগী হোটেল মালিক ও কর্মচারীসহ স্থানীয় সচেতন নাগরিকগণ।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার পরিচালক ফিরোজ প্রধান বলেন, ‘র্যাবের বিশেষ অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’