চৌদ্দগ্রামে গাঁজা-মদ সহ দুই মাদক কারবারি আটক

0
210

মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ১০ কেজি গাঁজা, ২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ২৫ পিস এস্কাফ সিরাপ সহ চিহিৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো: উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত শাহেদ মিয়ার ছেলে মো: সুমন মিয়া (২৬) ও কুমিল্লার দাউদকান্দি থানাধিন ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের টামটা গ্রামের সরকার বাড়ীর মো: আমির হোসেনে ছেলে মো: আকবর হোসেন (৩২)। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত ১২:২০ ঘটিকা অর্থাৎ রোববার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম, সুজন কুমার চক্রবর্তী ও সহকারী উপ-পরিদর্শক জহির উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের দৌলবাড়ী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপাশে হোটেল খাদিজা ইন এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজা সহ সুমন মিয়াকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মো: রফিকের ছেলে মো: রহিম (২৭) ও একই গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে শহিদ মিয়া (২৮) নামে তার অপর দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে আটককৃত আসামী আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধৃত এবং পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে রোববার সকালে থানার উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন ও আশী আশরাফ জুয়েল সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় ঢাকাগামী মহাসড়ক সংলগ্ন বসন্তপুর কবরস্থানের পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ২৫ পিস এস্কাফ সিরাপ সহ মাদক ব্যবসায়ী আকবর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা জানান, ‘থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ১০ কেজি গাঁজা ও ২৫ বোতল ফেন্সিডিল এবং ২৫ পিস এস্কাপ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে এবং দুই মাদক কাববারি পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’