স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা ও শালুকিয়া এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন বাড়ীঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ সময় ঝড়ো বাতাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কর উপর থেকে ভেঙ্গে পড়া গাছপালাগুলো সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় প্রায় পনের লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ মে) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা ও শালুকিয়া এলাকায় হঠাৎ করে টর্নেডো আঘাত হানে। এ সময় আমানগন্ডা দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ার মসজিদে জান্নাত (পাঞ্জেগানা মসজিদ), ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা কমপ্লেক্সের টিনসেড ভবনটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এছাড়া একই এলাকার আরো প্রায় ১৫-২০টি টিনসেড ঘরসহ বিভিন্ন গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ টর্নেডোর থাকার ঘরটি ভেঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একমাত্র থাকার ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে রাত্রি যাপন করেছি। এমতাবস্থায় কি করবো জানিনা। সরকারী সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সহায়তা পেলে উপকৃত হবো’।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফয়েজ আহম্মেদ জানান, ‘শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় টর্নেডোর আঘাতে গাছপালা ভেঙে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর পড়লে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়ক থেকে গাছপালা সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় স্থানীয় মসজিদ-মাদরাসাসহ সাধারণ মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা হতে পারে’।