মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে বাড়ীর পাশের পুকুর থেকে মোহাম্মদ রাফি (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার পৌরসভাধিন চাঁন্দিশকরা মধ্যমপাড়ার মো: শহীদুল ইসলাম রাজুর বড় ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার পর থেকে রাফিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একইদিন রাত দশটায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এ বিষয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি (ডায়েরি নং-১২৬৮/২৪) করা হয়। রোববার সকাল ১১টায় পৌরসভাধিন মধ্যম চাঁন্দিশকরায় নিখোঁজ শিশুর বাড়ীর পাশের নোয়া পুকুরের পশ্চিমপাড়ের পাকা ঘাটলার দক্ষিণ পাশে রাফির লাশ ভাসতে দেখেন হাজী রইচের রহমান নামে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়ী নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল শেষে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে শিশু রাফির মৃত্যুতে তার পিতা-মাতা সহ স্বজনদের গগণবিদারী আত্মচিৎকারে যেন আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। পরিবার সহ সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম রাজু কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘কারো সাথে আমার কোনো শত্রæতা নেই। আমার ছেলে রাফি নিহত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাই।’
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদিউল আলম পাটোয়ারী জানান, ‘শনিবার বিকালে শিশু রাফি নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিলো। রোববার সকালে বাড়ীর পাশের পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।’