চৌদ্দগ্রামে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার চেষ্টায় সুস্থ হলো হার্নিয়া আক্রান্ত গরু বাচুর

0
255

মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌসি আক্তার দীপ্তির চেষ্টায় সফল অপারেশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হলো চিওড়া ইউনিয়নের শায়েস্তানগরের খামারি সাহাবুদ্দিন এর একটি হার্নিয়া আক্রান্ত গরু বাচুর। গত বৃহস্পতিবার তিনি খামারির বাড়িতে গিয়ে এ অপারেশন করেন। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সফল অপারেশন করায় এবং গরু বাচুরটি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় খামারিসহ স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শায়েস্তানগরের খামারি সাহাবুদ্দিন এর খামারের একটি গরু বাচুর দীর্ঘ ২ মাস যাবৎ নাভী ফোলা সমস্যা নিয়ে অসুস্থতায় ভুগছিলো। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়েও বাচুরটিকে সুস্থ করা সম্ভব না হওয়ায় ভুক্তভোগি খামারি সাহাবুদ্দিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নিকট আসেন। বিস্তারিত শুনে প্রাণিসম্পাদক কর্মকর্তা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাচুরটির হার্নিয়া সনাক্ত করেন এবং সফল অপারেশন করে বাচুরটির জীবন বাঁচাতে ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে বাচুরটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

খামারি সাাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অনেকেই বলেন উপজেলা পর্যায়ে এসব রোগের অপারেশন হয়না। পরে জানতে পারি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজেই একজন অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসক। পরে তার কাছে যাই। বিস্তারিত শুনে তিনি তাৎক্ষণিক অপারেশন করেন। বর্তমানে হার্নিয়া আক্রান্ত গরুর বাচুরটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌসি আক্তার দীপ্তি বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রামের আলোকে বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় সেখানে সকল ঔষধ পাওয়া যায়না। তাই কেস হিস্ট্রি জেনে অপারেশনের প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিলাম। বাচুরটা খুবই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলো। ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় সফল অপারেশনের মাধ্যমে বাচুরটিকে সুস্থ করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। প্রতিটি খামারি খুব কষ্ট ও যতে্নর সাথে গরু লালনপালন করে। তাদের পাশে থাকতে চেষ্টা করি। চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাজে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দরজা সকলের জন্য সবসময় খোলা।’