মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২টি ফ্লোরপাকা টিনসেড বসতঘর সহ মোট ৩টি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সকাল অনুমান সাড়ে এগারটায় উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়ায়। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক একরামুল হক কমল সহযোগিতা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানা গেছে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে এগারটায় উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়ায় মাস্টার একরামুল হক কমল এর বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তেই দু’টি ফ্লোরপাকা টিনসেড বসতঘর ও একটি টিনসেড রান্না ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এ সময় বসতঘরে থাকা নগদ ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, স্টীলের ৪টি আলমিরা, ২টি সিন্দুক, কাঠের ৪টি বক্স খাট, ২টি সেমি বক্স খাট, ১ সেট সোফা, ১টি ডাইনিং টেবিল-চেয়ার সেট, ১টি ওয়াল সোকেইস সহ ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কমপক্ষে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি মাস্টার একরামুল হক কমল জানান, খামারের গরু কেনার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখেছিলাম। রোববারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নগদ ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র সহ ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আকষ্মিক এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একদিনেই নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এ সময় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযেগিতা কামনা করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বিকালে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী স্টেশন অফিসার বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ‘অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় আনুমানিক প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগি পরিবার।’