চৌদ্দগ্রামে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ, সন্তান প্রসব

0
1251

ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারেকুর রহমান নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী সন্তানও প্রসব করে। রোববার (৪ অক্টোবর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩নং আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ৩নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিস্তারিত শুনানির পর মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আদেশ দেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর রহমান উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর খালাতো ভাই বলে জানা গেছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছুটির পর কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর। এ সময় ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ধারণ করে রাখে সে। পরে এসব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারেকুর। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করে। বিচারে শিক্ষক তারেকুর সন্তান প্রসবের পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

কিন্তু সম্প্রতি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী সন্তান প্রসব করলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় তারেকুর। পরে গত রোববার (৪ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর বাবা তারেকুরসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো: চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারেকুর রহমানের ভাই তৌফিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান ও রমজান আলী ভূঁইয়া। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, আসামীরা নিজ বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।