স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বতিসা ইউনিয়নের নানকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক স্থানীয় কুচক্রী মহল দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জানুয়ারী স্থানীয় একটি পত্রিকায় ‘স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একটি কুচক্রী মহল রিপোর্টারকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষকের সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে পত্রিকায় সংবাদটি পরিবেশন করায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি শিক্ষক। অবশ্য নিউজ প্রকাশের পরদিন একই পত্রিকায় ভুক্তভোগির প্রতিবাদ ফলাও করে ছাপানো হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ নানকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ভুক্তভোগি ওই শিক্ষককে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে তারা। তখন ভুক্তভোগি শিক্ষকের থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে চক্রান্তকারীরা শিক্ষকের সাথে ক্ষমা চাইলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মিমাংসা হয়।
এমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি দাবী করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান টিপু জানান, “সম্প্রতি ফেসবুকে বিভিন্ন নামে-বেনামের আইডি থেকে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানহানীকর স্ট্যাটাস দেখে আমি কথিত ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে জানান, ‘এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে কে বা কাহারা এ জাতীয় সংবাদ প্রচার করছে।”
এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, ‘নানকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি লেখাপড়ার মানের দিক থেকে বাতিসা ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। যা ষড়যন্ত্রকারীদের সহ্য হচ্ছে না। এজন্যই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তার সম্মানহানীসহ বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রমে বিঘœতা সৃষ্টি করছে একটি মহল।’
এ বিষয়ে নানকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসনাহেনা চৌধুরী বলেন, ‘আমার জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি হচ্ছে তিনি একজন ভালো মানের শিক্ষক ও ভালো মানুষ। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ঐক্যমত। যার বিরুদ্ধে লেখালেখি হচ্ছে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষার উপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় এ বিদ্যালয়টিকে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। যাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল হয়তো এমন হীন অপপ্রপচারে লিপ্ত হয়ে থাকতে পারে।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, পত্রিকায় নিউজ দেখার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে আমি সহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হয়। তদন্তে এই ধরণের কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেয়া হয়েছে।’