স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মঙ্গলবার বিকেলে যাত্রীবাহী চেয়ারকোচ পরিবহন স্টারলাইন গাড়ীর চাপায় মোহাম্মদ এরশাদ (৩২) নামে এক দিনমজুর নিহত হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত জনতা মহাসড়কে স্টারলাইন পরিবহনের ১৫টি গাড়ি আটকে রাখে এবং ওই পরিবহনের চৌদ্দগ্রাম কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। নিহত এরশাদ পৌরসভার সোনাকাটিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে দিনমজুর এরশাদ একটি ধান মাড়াই মেশিন নিয়ে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের ডাক-বাংলো নামকস্থানে পৌঁছলে ঢাকা থেকে ফেনীগামী বেপরোয়া গতিতে আসা স্টারলাইন পরিবহনের একটি চেয়ারকোচ তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় চেয়ারকোচটি দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে ফেনী ও ঢাকামুখী স্টারলাইন পরিবহনের ১৫টি বাস অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তারা স্টারলাইন পরিবহনের চৌদ্দগ্রাম কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা ও মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনার পরপর উত্তেজিত জনতা মহাসড়ক বেরিকেড দিয়ে স্টারলাইন পরিবহনের বেশ কিছু বাস আটক করে রাখলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে উত্তেজিত জনতাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে এবং স্টারলাইন পরিবহন কাউন্টারের তালা খুলে দেয়া হয়েছে।’