জমি আত্মসাত ও প্রতারণার মামলায় পরশুরামের আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি, মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

0
1300

স্টাফ রিপোর্টার: জাল দলিল ও প্রতারণায় মাধ্যমে শ্বশুর বাড়ীর জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে দ্রুত বিচারের দুই মামলায় ফেনীর পরশুরাম উপজেলার রাজেশপুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও হুলিয়া জারি সহ একই জেলার সদর থানার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ সওদাগর এর ছেলে আবুল কালাম এর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। ভুক্তভোগি এম আর রহমান তামজিদ কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ আমলী আদালত-৫ গত রোববার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও হুলিয়া জারি করে। একই সাথে মালামাল ক্রোকেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের মজুমদার বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আদালত ও ভুক্তভুগির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার রাজেশপুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আবু ইউসুফ ও ফেনী সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ সওদাগরের ছেলে আবুল কালাম পরস্পর ভায়রা ভাই। তারা তাদের স্ত্রীদের সহায়তায় শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাকের ২৩ শতক জমির মধ্যে ১১.৫ শতক জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করে মালিকানা দাবি করে আসছিলো। একই সাথে অভিযুক্ত আবুল কালাম তার শ্যালক তামজিদের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করে হয়রানির চেষ্টা অব্যাহত রাখে। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনার তদন্তে গেলে মামলাটির রিপোর্ট আবুল কালামের বিরুদ্ধে গেলে গোপনে ফুটআপ দিয়ে আবুল কালাম মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।

পরে ভুক্তভোগি তামজিদ তাদের জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে কুমিল্লা আমলী আদালত-৫ এ আবু ইউসুফ ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। তদন্তে আসামীদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ আবু ইউসুফ ও আবুল কালাম সহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে আদালত অভিযুক্ত আবু ইউসুফ ও আবুল কালাম সহ চার আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারী করে।

এদিকে কুমিল্লা দ্রুত বিচার আদালতের আরেকটি মামলায় আদালত ফেনীর পরশুরাম উপজেলার রাজেশপুর গ্রামের আবু ইউসুফ, তার ভায়রা ভাই ফেনী সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আবুল কালাম ও তার ভাই আবু তাহেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আবুল কালাম ও আবু তাহের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেও অপর আসামী আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল থাকায় আদালত আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম সহ সমগ্র জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বোন ও বোনের স্বামী কর্তৃক তাদেরই আপন ভাই হয়রানির শিকার হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ভাইদের প্রতি বোনদের মমতা-ভালোবাসা নিয়ে জেগেছে শংকা। আদৌ কি সে ভালোবাসা প্রকৃত ছিলো নাকি ছিলো মেকি?