মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: জমে উঠেছে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন। পৌর নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের নানা রকম প্রচারণায় সরগরম চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ২৬টি গ্রাম। পোস্টার সাঁটানো, ব্যানার টাঙ্গানো, গানে গানে তৈরী করা প্রার্থীদের নানা রকম প্রচারণা, মাইকিং, উঠোন বৈঠক, গণসংযোগ আর সভা-সমাবেশে চতুর্দিকে নির্বাচনী আমেজ নেমে এসেছে। চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার বাজার সহ অলিগলির সকল সড়কেই প্রচারণায় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সমগ্র পৌর এলাকা।
তাকালেই চোখে পড়বে সারি সারি ঝোলানো পোস্টার। মাইকিং ছাড়াও চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে নির্বাচনী প্রচারণা। কথার ফুলঝুরিতে চায়ের স্টলগুলোতে জমে উঠেছে চায়ের আড্ডা। করোনা আর শীতকে পেছনে ফেলে কোনো প্রার্থীই পিছিয়ে নেই প্রচার-প্রচারণায়। সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরছেন। বিএনপি ও অন্যান্য প্রার্থীরাও নির্বাচিত হলে উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন ভোটারদের।
আ’লীগের প্রার্থী জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, “পৌরসভা সহ সারা চৌদ্দগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক মুজিব এমপি। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং তাদের খেদমত করার সুযোগ দিবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি। আমি জনগণের খাদেম হতে চাই”।
বিএনপি’র প্রার্থী মো: হারুন অর রশিদ বলেন “বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দেলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত”।
স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো: হাসান শাহরিয়ার খাঁ বলেন “বিভেদ নয় ঐক্য ও মেধার রাজনীতি চাই, পৌরবাসীর বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থাকতে চাই। নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাকে একটি পরিকল্পিত আধুনিক সবুজ নগরী হিসেবে গড়তে চাই”।
অপর প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা মো: বেলাল হোসেন মিয়াজীর পক্ষে মাইকিং ছাড়া তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা এখনো চোখে পড়েনি।
এবার চৌদ্দগ্রাম পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম মীর হোসেন মীরু (নৌকা), পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: হারুন অর রশিদ (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো: হাসান শাহরিয়ার খাঁ (মোবাইল ফোন), সাবেক ছাত্রদল নেতা মো: বেলাল হোসেন মিয়াজী (জগ)। এছাড়া সাধারণ আসনের ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৫০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।