মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: যে মহাসড়কে প্রতি মিনিটে গাড়ির লাইন লেগে থাকতো, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে সে মহাসড়কটি শনিবার প্রায় যানশূন্যই ছিল। যাত্রীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। যান চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা না থাকায় মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। এতে মহাসড়কে সুনশান নীরবতাই লক্ষ্য করা গেছে।
চিরচেনা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটির চিত্র দেখলে মনে হয় সড়কে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের ৪৪ কিলোমিটার এলাকায়। তবে আন্তজেলা: পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এদিন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল ছিল না বললেই চলে। সারাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের ভাড়া।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাওয়া তিশা প্লাটিনাম বাসে ২৯০ টাকায় যাত্রী নেয়া হচ্ছে। শুক্রবারও যার ভাড়া ছিল ২৪০ টাকা। অভিযোগ আছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বাস কর্তৃপক্ষ। একই বাসে ফেনীর ভাড়া ছিল ১০০ টাকা। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা।
তিশা প্লাটিনাম বাসের সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে, চট্টগ্রাম সিটিতে বাস ধর্মঘট চলায় সেখানে আটকা পড়েছে বিপুল সংখ্যক বাস। তাই চট্টগ্রামগামী বাসের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামগামী গ্রাম বাংলা পরিবহনের টিকেট ম্যানেজার কেফায়েত উল্লাহ বলেন, আগে ২৪০ টাকা ছিল চট্টগ্রামের ভাড়া, আজ ২৭০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম নামের এক বাস যাত্রী বলেন, ডিজেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। আর বাস মালিকরা সিট প্রতি ৫০ টাকা বাড়িয়েছে। তবুও ঠিকমতো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। এটি দুর্ভাগ্যজনক।