মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: সেবার মানসূচকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুমিল্লা জেলায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন সহ, চট্টগ্রাম বিভাগে চতুর্থ ও সারাদেশে ১৪তম স্থান অর্জন করেছে। প্রতি তিন মাস পরপর সারাদেশের স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্কোরিং এসেসমেন্ট প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডিসেম্বর ২০২৩ এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলায়-২য়, বিভাগে ৪র্থ ও সারাদেশে ১৪তম স্থান অর্জন করে।
জানা গেছে, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাবেক রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক মুজিব এমপি’র সার্বিক দিকনির্দেশনায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: গোলাম কিবরিয়া টিপুর নেতৃত্বে একদল নবীন-প্রবীণ চিকিৎসক ও অভিজ্ঞ স্টাফ-নার্সদের সমন্বয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিদিন বহিঃবিভাগে ৮শ’ থেকে ১ হাজার এবং আন্তঃবিভাগে শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড, মারামারি, বিষ খাওয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শতাধিক রোগীকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, ‘হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাবেক রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক মুজিব এমপি’র দিকনির্দেশনায় এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের এই অর্জন। চৌদ্দগ্রামের সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার একাংশ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অসংখ্য রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত প্রয়োজন অনুসারে সিজারিয়ান অপারেশন, নরমাল ডেলিভারী, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, প্যাথলজি পরীক্ষা ও ডিজিটাল এক্স-রে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিদিন রোগীর প্রচুর চাপ থাকলেও ৫০ শয্যার লোকবল নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।’
এদিকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষে উপজেলার কালিকাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে ট্রমা হাসপাতালে রূপান্তরের জোর দাবি জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রামের সচেতন মহল।