২৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ভার্ড-স্প্রীহা ফাউন্ডেশনের মাঝে নতুন চুক্তি, সেবা পাবে ১,১০০ দরিদ্র চক্ষু রোগি

0
248

মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন: ২৬ বছরে পদার্পণ করলো দেশের অন্যতম বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ভার্ড। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠির সাথে বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ভার্ড দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও হতদরিদ্র চক্ষু রোগিদের মানসম্মত সেবা দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভার্ড গত সোমবার (১১ মার্চ) স্প্রীহা ফাউন্ডেশনের সাথে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে। চুক্তি সম্পাদনকালে ভার্ড এর পক্ষে উপস্থিত থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ‘ভার্ড’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং কুমিল্লা জেলা পরিষদ এর সদস্য মো: এমরানুল হক কামাল (ভার্ড কামাল)। চুক্তিতে স্প্রীহা ফাউন্ডেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক তাজিন শাহীদ। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভার্ড।

উক্ত চুক্তি সম্পাদনের ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও হতদরিদ্র চক্ষু রোগিরা বিনামূল্যে চক্ষু সেবা গ্রহণের মাধ্যমে বেশ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছে ভার্ড। উপরোক্ত চুক্তির আওতায় স্প্রীহা ফাউন্ডেশন ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে বিনামূলে সর্বমোট ১ হাজার ১০০ দরিদ্র চক্ষু রোগির ছানি অপারেশন করবে। নতুন সম্পাদিত চুক্তিটি আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়িত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে উক্ত প্রকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হলেও পরবর্তীতে এ প্রকল্পের কার্যক্রম দীর্ঘ মেয়াদে চলমান থাকবে বলে ভার্ড সূত্রে জানা গেছে। এ সময় আগ্রহী দরিদ্র রোগিদের চক্ষু পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট ভার্ড চক্ষু হাসপাতালে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ভার্ড এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভার্ড কামাল চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য এমরানুল হক কামাল (ভার্ড কামাল) বলেন, ‘সম্পূর্ণ সেবার মানসিকতায় প্রতিষ্ঠিত ভার্ড এর চক্ষু হাসপাতালগুলোর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও অনন্য সাফল্য। অনন্য এ অর্জনের স্বপ্নসারথী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। গরীব-অসহায় চক্ষুরোগির পাশাপাশি সাধারণ রোগিদের মানসম্মত সেবাপ্রদানে হাসপাতালটি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ভার্ড চক্ষু হাসপাতাল ২৬ বছরে পদার্পণ করেছে। দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পথচলা আরো সমৃদ্ধ হবে এ প্রত্যাশায় সকলের দোয়া কামনা করছি’। এ সময় তিনি হাসাপাতালের চিকিৎসক, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ছানি অপারেশনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নকারী সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।