স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৫৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কামিলসহ ৪৯টি মাদরাসার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকীরা মানছে না স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারী নির্দেশনা। মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকনির্দেশনা দিয়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়। প্রথম সপ্তাহে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্লাস চললেও পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতির সংখ্যা কমতে থাকে। বিয়েসহ নানা কারণে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই ৫ থেকে ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, নজমিয়া কামিল মাদরাসা, বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাতিসা বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, ধোড়করা উচ্চ বিদ্যালয়, হিঙ্গুলা হাছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, করপাটি হাজী মনির উদ্দিন আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, আতাকরা হাজী সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া দাখিল মাদরাসাসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরকারি দিকনির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
মাস্ক ব্যবহার কমে যাওয়া, দূরত্ব বজায় না রাখা, স্যানিটাইজেশনের অভাব সহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ব্যবহারের নামে থুতুনীতে ঝুলিয়ে রেখে জটলা বেঁধে আড্ডায় মেতেছে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে তড়িগড়ি করে মাস্ক পড়তে দেখা গেছে। এ সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে দ্রæত মাস্ক বিতরণে ব্যস্ত ছিল। এ অবস্থায় করোনা সংক্রম ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব হোসেন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে করণীয় নির্ধারণ করে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সকল প্রতিষ্ঠানকে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেসকল প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালেহ্ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, সরকারি নির্দেশনায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।
আতাকরা হাজী সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল মমিন বলেন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চলছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফুর্তভাবে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে।